সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন দলটির চেয়ারম্যান এম এ মতিন ও মহাসচিব স উ ম আব্দুস সামাদ
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই দেশি-বিদেশি কুচক্রীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। জাতীয় নির্বাচন কীভাবে কোন পদ্ধতিতে হবে তা দেশের রাজনীতিবিদরা বসে ফয়সালা করবেন এটাই কাম্য। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদরা আজ ব্যর্থ। ফলে দেশি-বিদেশি কুচক্রীরা আমাদের দেশ নিয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপের সুযোগ পাচ্ছে। রাজনীতির নাটাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে চলে যাওয়া রাজনীতিবিদদের জন্য বড় লজ্জার বিষয়। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি আঘাতের শামিল। তাই দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ রুখে দিতে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আসা দরকার। এজন্য ইসলামী ফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেবে।’ সারা দেশে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অবহেলিত শান্তিপ্রিয় সুফিবাদী জনতার অধিকার আদায়, দুর্নীতি, অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং চলমান সংঘাত সহিংসতার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম লালদীঘি মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এম এ মতিন বলেন, ‘দেশের জনগণ আজ ভালো নেই। ভোগ্যপণ্যসহ সকল নিত্যপণ্যের দাম আজ আকাশচুম্বী। অসাধু সিন্ডিকেটের কাছে সরকারও যেন আজ বড় অসহায়। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে জনগণকে বাঁচাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সকল সভ্য দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন পরিচালনা করে স্বাধীন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন। তাই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে সত্যিকারার্থে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। স্বাধীন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে।’
প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা স উ ম আব্দুস সামাদ। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব ইসলামী ফ্রন্ট প্রেসিডিয়াম সদস্য এম সোলায়মান ফরিদ।
মহাসমাবেশ শেষে এক বিশাল র্যালি লালদীঘি চত্বর থেকে বের হয়ে চেরাগী পাহাড় এসে শেষ হয়।
Leave a Reply